― Advertisement ―

spot_img

বাংলার ইতিহাস (১৯০৫-১৯৪৭) পরীক্ষা-২০১৭

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ইতিহাস বিভাগ) বিষয় কোড : 241503 বিষয় : বাংলার ইতিহাস (১৯০৫-১৯৪৭) ক-বিভাগ (ক) ক্ষুদিরাম কে ছিলেন? উত্তর : ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সর্বকনিষ্ট এক বিপ্লবী ছিলেন। (খ) কখন...
Homeবাংলার ইতিহাসবাংলায় খিলাফত আন্দোলনের প্রভাব বর্ণনা কর।

বাংলায় খিলাফত আন্দোলনের প্রভাব বর্ণনা কর।

অথবা, বাংলায় খিলাফত আন্দোলনের প্রভাবগুলো লিখ ।


উত্তর : ভূমিকা : খিলাফত আন্দোলন ভারত উপমহাদেশের স্বতঃস্ফূর্ত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন । হিন্দু ও মুসলমানরা একই মঞ্চে এসে এ আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশ নেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত আন্দোলন সফল

জাগ্রত হয় তা পরবর্তীকালে বহু আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত বাংলায় খিলাফত আন্দোলন একটি গণ আন্দোলনে পরিণত হয়।

এবং হিন্দু ও মুসলমানরা এতে অংশগ্রহণ করে।

→ বাংলায় খিলাফত আন্দোলনের প্রভাব : নিম্নে বাংলায়

খিলাফত আন্দোলনের প্রভাব তুলে ধরা হলো-

১. হিন্দু ও মুসলিম ঐক্যমত : বাংলায় খিলাফত আন্দোলনে হিন্দু ও মুসলিম ঐক্যমতের ভিত্তিতে আন্দোলন পরিচালনা করেন। এ আন্দোলনই প্রথম হিন্দু ও মুসলমান ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশরা ভাগ কর ও শাসনকর হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছিল যা খিলাফত আন্দোলনের মাধ্যমে দূরীভূত হয়। এজন্য বাংলায় খিলাফত আন্দোলনের প্রভাব ছিল অত্যধিক ।

২. রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি : বাংলায় খিলাফত আন্দোলন হিন্দু ও মুসলমান এক সাথে আন্দোলন করার ফলে রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছিল। যার ফলে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে তাদের দমন করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।

৩. বাংলায় খিলাফত নেতৃবৃন্দ : বাংলায় খিলাফত আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব প্রদান করেছিল তাদের মধ্যে মাওলানা আকরাম খা, মুহাম্মাদ আব্দুল বাকী ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, ও একে ফজলুল হক। মাওলানা আকরাম খা ও ইসমাইল হোসেন সিরাজী বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ব্যাপক সফর করেন এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে খিলাফত সভা সংঘটিত করেন।

৪. মুসলিম জাতীয়তাবাদের উত্থান : মুসলিম জাতীয়তাবাদের র্য উত্থানে বাংলায় খিলাফত আন্দোলনের প্রভাব ছিল ব্যাপক।  খিলাফত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলার মুসলমানরা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে এক বিরাট সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আন্দোলনের প্রথম দিকে অহিংস হলেও ১৯২২ সালর উত্তর প্রদেশের চৌরাচৌরা থানায় ৩০০০ ব্যক্তি আক্রমণ চালিয়ে একজন ইনসপেক্টর ও ২৫ জন পুলিশকে পুড়িয়ে মারেন। এ সময় তুরস্কে মোস্তফা কামাল পাশা তুরস্ক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে ১৯২৪ সালে খলিফা তুলে নেওয়ার পর ভারতীয় উপমহাদেশে খিলাফত পন্থিরা বিচলিত হয়ে পরেন।