― Advertisement ―

spot_img

বাংলার ইতিহাস (১৯০৫-১৯৪৭) পরীক্ষা-২০১৭

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ইতিহাস বিভাগ) বিষয় কোড : 241503 বিষয় : বাংলার ইতিহাস (১৯০৫-১৯৪৭) ক-বিভাগ (ক) ক্ষুদিরাম কে ছিলেন? উত্তর : ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সর্বকনিষ্ট এক বিপ্লবী ছিলেন। (খ) কখন...
Homeবাংলার ইতিহাস১৯৩৭ সালের নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা কর।

১৯৩৭ সালের নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালের ভারতের অন্যান্য প্রদেশের ন্যায় বাংলা প্রদেশে ও | প্রাদেশিক আইন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষক প্রজা পার্টি . অভিজাত শ্রেণির মুসলিম লীগ মুসলিম আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কৃষক প্রজা পার্টি ও মুসলিম কোয়ালিশন সরকার গঠন করে।

→ ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের ফলাফল : ১৯৩৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত ১১৯টি আসনের জন্য বাংলার মানুষ কৃষক প্রজা পার্টি ও মুসলিম লীগ দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। নির্বাচনে পটুয়াখালীতে কৃষক প্রজা পার্টির নেতা একে ফজলুল হকের নিকট মুসলিম লীগ নেতা খাজা নাজিমউদ্দিন পরাজয় বরন করেন। নাজিমউদ্দিনের জামানত ও বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। তবে নির্বাচনে কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। ইনামুল হক ও এম. এ রহিমের মতে মুসলিম লীগ ৪০টি কৃষক প্রজা পার্টি ৩৮টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪১টি আসন পায়। কৃষক প্রজাপার্টির নেতা মনসুর আহমদের মতে মুসলিম লীগ ৩৮ কৃষক প্রজা পার্টি ৪৩টি এবং বাকি আসন অন্যরা পায়। মিলা সেনের মতে মুসলিম লীগ ৩৮টি কৃষক প্রজা পার্টি ৩৬টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪৩টি আসন পায়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী দুটি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নাজিমদ্দিনকে একটি আসন ছেড়ে দেন। সাধারণ আসনগুলোর পক্ষে কংগ্রেস ৬০টি আসন লাভ করেন। বাকি আসনগুলো স্বতন্ত্র বর্ণবিন্দু, তফসিলী হিন্দু এবং ইউরোপীয় প্রার্থীরা পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ মুসলিম লীগ ও কৃষক প্রজা পাটিতে যোগদান করে। যার ফলে মুসলিম লীগের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯ এ এবং কৃষক প্রজা পার্টির সদস্য দাঁড়ায় ৫৫টি-তে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলার ইতিহাসে ১৯৩৭ সালের নির্বাচন একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এই নির্বাচনে শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার গঠিত হওয়ায়  বাংলার কৃষক প্রজা সাধারণের কল্যাণ অনেকাংশে ত্বরান্বিত হয় এবং বাংলায় মুসলিম লীগের রাজনৈতিক শক্তি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায় ।